নিচের আমলগুলো এশার ফরজ নামাজের পর অত্যাবশ্যকীয়
সর্বমোট আমলঃ ৭ টি
সর্বমোট সময়ঃ ২০ মিনিট
আমলের সময়ঃ এশার সালাতের পর
✅ রাসূলুল্লাহ (সা.) প্রত্যেক ফরজ নামাজ শেষে ৩ বার আসতাগফিরুল্লাহ্ বলতেন। (মুসলিম, ১২২২)
প্রত্যেক ফরজ নামাজের সালাম ফিরানোর পর উপরে তাকিয়ে "আল্লাহু আকবার" বলে ৩ বার "আস্তাগফিরুল্লাহ" পাঠ করতেন।
✅ আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম ওয়া মিনকাস সালাম, তাবারকতা ইয়া যাল-জালা-লী ওয়াল ইকরাম (মুসলিম, ১২২১)
অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি শান্তি (সকল ত্রুটি থেকে পবিত্র) এবং তোমার নিকট থেকেই শান্তি। তুমি বরকতময় হে মহিমময়, মহানুভব! (মুসলিম ১/৪১৪)
✅ আয়াতুল কুরসি পাঠ করা - ১ বার
আরবি: اللَّهُ لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ ۚ لَا تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلَا نَوْمٌ ۚ لَّهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ ۗ مَن ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِندَهُ إِلَّا بِإِذْنِهِ ۚ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ ۖ وَلَا يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِّنْ عِلْمِهِ إِلَّا بِمَا شَاءَ ۚ وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ ۖ وَلَا يَئُودُهُ حِفْظُهُمَا ۚ وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ
উচ্চারণ: আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল কায়্যুম, লা-তা’খুজুহু সিনাতুওঁ ওয়ালা নাউম। লাহু মা ফিস্ সামাওয়াতি ওয়ামা ফিল্ আরদ, মান জাল্লাজি ইয়াশফাউ ইনদাহু ইল্লা বি ইজনিহি। ইয়া’লামু মা বাইনা আইদিহিম ওয়ামা খলফাহুম, ওয়ালা ইউহিতুনা বিশাইয়িম্ মিন ইলিমিহি ইল্লা বিমা শা-আ। ওয়াসিআ কুরসিয়্যুহুস্ সামাওয়াতি ওয়াল আরদ, ওয়ালা ইয়াঊদুহু হিফজুহুমা, ওয়াহুওয়াল আলিয়্যুল আজিম, (সুরা বাকারা, আয়াত : ২৫৫)।
অর্থ: আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো উপাস্য নেই, তিনি জীবিত, সবকিছুর ধারক। তাঁকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না এবং নিদ্রাও নয়। আসমান ও জমীনে যা কিছু রয়েছে, সবই তাঁর। কে আছ এমন, যে সুপারিশ করবে তাঁর কাছে তাঁর অনুমতি ছাড়া? দৃষ্টির সামনে কিংবা পিছনে যা কিছু রয়েছে সে সবই তিনি জানেন। তাঁর জ্ঞানসীমা থেকে তারা কোনো কিছুকেই পরিবেষ্টিত করতে পারে না, কিন্তু যতটুকু তিনি ইচ্ছা করেন। তাঁর সিংহাসন সমস্ত আসমান ও যমীনকে পরিবেষ্টিত করে আছে। আর সেগুলোকে ধারণ করা তাঁর পক্ষে কঠিন নয়। তিনিই সর্বোচ্চ এবং সর্বাপেক্ষা মহান।
আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে, তার জান্নাতে প্রবেশের পথে মৃত্যু ছাড়া আর কোনও অন্তরায় থাকবে না, (শুআবুল ঈমান, হাদিস : ২৩৯৫)।’
✅ সুরা ইখলাস, ফালাক্ব ও সূরা নাস - ১ বার
✅সুবহা-নাল্লা-হ (৩৩ বার), আলহাদুলিল্লাহ্ (৩৩ বার), আল্লাহু-আকবার (৩৩ বার), এবং ১ বার উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু অহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু অলাহুল হামদু, অহুয়া ‘আলা কুল্লি শায়ইন ক্বাদীর’
অর্থ: আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই, তিনি এক ও অদ্বিতীয়, তার কোনো শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই, প্রশংসা তাঁরই, তিনি সব কিছুর উপরে সর্বশক্তিমান। (মুসলিম, ১২৪০)
তাসবীহ গণনায় বামহাত বা তাসবীহ মালা ব্যবহার না করে কেবল ডানহাত ব্যবহার করাই উত্তম। (মুসলিম, ১২৪০; সহীহুল জামে’ ৪৮৬৫নং)
✅ এশার নামাজের পর তাসবিহ - ১০০ বার
উচ্চারণঃ হুয়াল্ লাতিফুল খাবীর
অর্থ: তিনি পাক ও অতিশয় সতর্কশীল।
✅ সুরা মুলক পড়া - ১ বার
হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সা.) আরও বলেন, ‘কোরআনে কারিমে এমন একটি সুরা আছে, যার মধ্যে ৩০ আয়াত আছে। আয়াতগুলো পাঠকারীর জন্য সুপারিশ করবে এবং তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে। আর সেটা হলো- ‘তাবারাকাল্লাজি বিয়াদিহিল মুলকু’ (সুরা মুলক)।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ২৮৯১)