মাগরিবের ফরজ নামাজের পর প্রয়োজনীয় কিছু আমল

Image of Masjid at Maghrib Time

নিচের আমলগুলো মাগরিবের ফরজ নামাজের পর অত্যাবশ্যকীয়

সর্বমোট আমলঃ ১৫ টি
সর্বমোট সময়ঃ ২৫ মিনিট
আমলের সময়ঃ মাগরিবের সালাতের পর

♻️ রাসূলুল্লাহ () প্রত্যেক ফরজ নামাজ শেষে ৩ বার আসতাগফিরুল্লাহ্‌ বলতেন। (মুসলিম, ১২২২)

প্রত্যেক ফরজ নামাজের সালাম ফিরানোর পর উপরে তাকিয়ে "আল্লাহু আকবার" বলে ৩ বার "আস্তাগফিরুল্লাহ" পাঠ করতেন।

♻️ আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম ওয়া মিনকাস সালাম, তাবারকতা ইয়া যাল-জালা-লী ওয়াল ইকরাম (মুসলিম, ১২২১) - ১ বার

অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি শান্তি (সকল ত্রুটি থেকে পবিত্র) এবং তোমার নিকট থেকেই শান্তি। তুমি বরকতময় হে মহিমময়, মহানুভব! (মুসলিম ১/৪১৪)

♻️ আয়াতুল কুরসি পাঠ করা - ১ বার

আরবি:  اللَّهُ لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ ۚ لَا تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلَا نَوْمٌ ۚ لَّهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ ۗ مَن ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِندَهُ إِلَّا بِإِذْنِهِ ۚ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ ۖ وَلَا يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِّنْ عِلْمِهِ إِلَّا بِمَا شَاءَ ۚ وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ ۖ وَلَا يَئُودُهُ حِفْظُهُمَا ۚ وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ

উচ্চারণ: আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল কায়্যুম, লা-তা’খুজুহু সিনাতুওঁ ওয়ালা নাউম। লাহু মা ফিস্ সামাওয়াতি ওয়ামা ফিল্ আরদ, মান জাল্লাজি ইয়াশফাউ ইনদাহু ইল্লা বি ইজনিহি। ইয়া’লামু মা বাইনা আইদিহিম ওয়ামা খলফাহুম, ওয়ালা ইউহিতুনা বিশাইয়িম্ মিন ইলিমিহি ইল্লা বিমা শা-আ। ওয়াসিআ কুরসিয়্যুহুস্ সামাওয়াতি ওয়াল আরদ, ওয়ালা ইয়াঊদুহু হিফজুহুমা, ওয়াহুওয়াল আলিয়্যুল আজিম, (সুরা বাকারা, আয়াত : ২৫৫)।
অর্থ‬: আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো উপাস্য নেই, তিনি জীবিত, সবকিছুর ধারক। তাঁকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না এবং নিদ্রাও নয়। আসমান ও জমীনে যা কিছু রয়েছে, সবই তাঁর। কে আছ এমন, যে সুপারিশ করবে তাঁর কাছে তাঁর অনুমতি ছাড়া? দৃষ্টির সামনে কিংবা পিছনে যা কিছু রয়েছে সে সবই তিনি জানেন। তাঁর জ্ঞানসীমা থেকে তারা কোনো কিছুকেই পরিবেষ্টিত করতে পারে না, কিন্তু যতটুকু তিনি ইচ্ছা করেন। তাঁর সিংহাসন সমস্ত আসমান ও যমীনকে পরিবেষ্টিত করে আছে। আর সেগুলোকে ধারণ করা তাঁর পক্ষে কঠিন নয়। তিনিই সর্বোচ্চ এবং সর্বাপেক্ষা মহান।

আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে, তার জান্নাতে প্রবেশের পথে মৃত্যু ছাড়া আর কোনও অন্তরায় থাকবে না, (শুআবুল ঈমান, হাদিস : ২৩৯৫)।’

♻️ সূরা কাফিরুনসূরা ইখলাস, ফালাক্ব সূরা নাস -  ১ বার (আবু দাঊদ২/৮৬, সহীহ তিরমিযী ১/৮, নাসাঈ ৩/৬৮)

এরপর বুকে একবার ফু দিয়ে দুই হাত একত্রিত করে তাতে ফু দিয়ে সমস্ত শরীর একবার স্পর্শ করা

♻️ সুবহা-নাল্লা-হ (৩৩ বার), আলহাদুলিল্লাহ্ (৩৩ বার), আল্লাহু-আকবার (৩ বার), এবং ১ বার উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু অহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু অলাহুল হামদু, অহুয়া ‘আলা কুল্লি শায়ইন ক্বাদীর’

অর্থ: আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই, তিনি এক ও অদ্বিতীয়, তার কোনো শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই, প্রশংসা তাঁরই, তিনি সব কিছুর উপরে সর্বশক্তিমান। (মুসলিম, ১২৪০)

তাসবীহ গণনায় বামহাত বা তাসবীহ মালা ব্যবহার না করে কেবল ডানহাত ব্যবহার করাই উত্তম। (মুসলিম, ১২৪০; সহীহুল জামে’ ৪৮৬৫নং)

♻️ বিভিন্ন দুর্ঘটনা থেকে নিরাপদে থাকার দোয়া - ৩ বার

আরবি: بِسْمِ اللَّهِ الَّذِى لاَ يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَىْءٌ فِى الأَرْضِ وَلاَ فِى السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ

উচ্চারণ: বিসমিল্লাহিল্লাজি লা ইয়াদুররু মাআসমিহি শাইউন ফিল আরদি ওয়ালা ফিস সামায়ি ওয়া-হুয়াস সামিউল আলিম।

অর্থ: আল্লাহর নামের উসিলায় সাহায্য প্রার্থনা করছি। যার নামের সঙ্গে থাকা অবস্থায় আসমান ও জমিনের কোনো কিছুই কোনো ক্ষতিসাধন করতে পারে না। তিনি সবকিছু শোনেন ও জানেন।

বিশিষ্ট সাহাবি হজরত উসমান ইবনে আফফান (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি সকালে এ দোয়া তিনবার পাঠ করবে, সে সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো আকষ্মিক দুর্ঘটনার শিকার হবে না। আর যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় এ দোয়া তিনবার পাঠ করবে সে সকাল পর্যন্ত কোনো আকষ্মিক দুর্ঘটনার শিকার হবে না। (আবু দাউদ : ৫০৯০, তিরমিজি : ৩৩৮৮)

♻️ আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের দোয়া - ৩ বার

আরবি: رَضِيتُ باللهِ رَبَّاً، وَبِالْإِسْلَامِ دِيناً، وَبِمُحَمَّدٍ نَبِيَّاً

উচ্চারণ: রাদ্বীতু বিল্লাহি রাব্বান, ওয়াবিল ইসলামি দ্বীনান, ওয়াবি মুহাম্মাদিন সাল্লাল্লা-হু আলাইহি ওয়াসাল্লামা নাবিয়্যান।

অর্থ: আমি আল্লাহকে রব হিসেবে, ইসলামকে দ্বীন হিসেবে ও মুহাম্মাদ (ﷺ)-কে নবী হিসেবে পেয়ে সন্তুষ্ট।

আল্লাহর রাসুল (ﷺ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যা তিনবার এই দোয়া পাঠ করবে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাকে সন্তুষ্ট করবেন, (আহমাদ ৪/৩৩৭, নং ১৮৯৬৭; আবু দাউদ, ৪/৩১৮, নং ১৫৩১; তিরমিযী ৫/৪৬৫, নং ৩৩৮৯)।

♻️ জাহান্নাম থেকে মুক্তির দোয়া - ৭ বার

আরবি: اللهم أجرني من النار

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আজিরনা মিনান্ নার।

অর্থ: হে আল্লাহ! আমাদেরকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করুন।

হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি ফজর ও মাগরিবের পর সাতবার নিম্নের দোয়াটি পাঠ করে এবং ওই দিনে বা রাতে তার মৃত্যু হয় তাহলে সে জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভ করবে।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৫০৭৯)

♻️ আরবি: حَسْبُنَا اللَّهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ، نِعْمَ الْمَوْلَىٰ وَنِعْمَ النَّصِيرُ - ৭ বার

উচ্চারণ: হাসবুনাল্লাহু ওয়া নি’মাল ওয়াকিল, নি’মাল মাওলা ওয়া নি’মান-নাসির’

অর্থ: আল্লাহ তাআলাই আমাদের জন্য যথেষ্ট, তিনিই হলেন উত্তম কর্মবিধায়ক; আল্লাহ তাআলাই হচ্ছে উত্তম অভিভাবক এবং উত্তম সাহায্যকারী।

‘হাসবুনাল্লাহু ওয়া নি’মাল ওয়াকিল’-অংশটি কোরআনের আয়াত। এটি পড়ার কথা পবিত্র সহিহ হাদিসের মাধ্যমে প্রমাণিত। ইবরাহিম (আ.)-কে আগুনে নিক্ষেপ করা হলো এবং রাসুল (ﷺ) (মুশরিকদের হামলা হবে এমন খবর শুনে হামরাউল আসাদে) উক্ত দোয়াটি পাঠ করেন (বুখারি, হাদিস : ৪৫৬৩; আলে ইমরান, আয়াত : ১৭৩)

এছাড়াও আল্লাহর রাসুল (ﷺ) এই বিশেষ দোয়াটি পাঠ করার ব্যাপারে উৎসাহিত করেছেন (তিরমিজি, হাদিস : ৩২৪৩; আল-আহাদিস আস-সাহিহা : ১০৭৯)

আর ‘নি’মাল মাওলা ওয়া নি’মান নাসির’ অংশটিও কোরআনের আয়াত; আল্লাহর প্রশংসাসূচক। (সুরা আনফাল, আয়াত : ৪০; সুরা হজ, আয়াত : ৭৮)

♻️ সাইয়িদুল ইস্তিগফার বা ক্ষমা প্রার্থনার দো‘আ -  বার

আরবি: اَللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّىْ لآ إِلهَ إلاَّ أَنْتَ خَلَقْتَنِىْ وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ، أَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّمَا صَنَعْتُ، أبُوْءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَىَّ وَأَبُوْءُ بِذَنْبِىْ فَاغْفِرْلِىْ، فَإِنَّهُ لاَيَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلاَّ أَنْتَ

উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা আনতা রব্বী লা ইলা-হা ইল্লা আনতা খালাক্বতানী, ওয়া আনা ‘আবদুকা ওয়া আনা ‘আলা ‘আহদিকা ওয়া ওয়া‘দিকা মাসতাত্বা‘তু, আ‘ঊযুবিকা মিন শার্রি মা ছানা‘তু। আবূউ লাকা বিনি‘মাতিকা ‘আলাইয়া ওয়া আবূউ বিযাম্বী ফাগফিরলী ফাইন্নাহূ লা ইয়াগফিরুয্ যুনূবা ইল্লা আনতা।

অর্থ: ‘হে আল্লাহ! তুমি আমার পালনকর্তা। তুমি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ। আমি তোমার দাস। আমি আমার সাধ্যমত তোমার নিকটে দেওয়া অঙ্গীকারে ও প্রতিশ্রুতিতে দৃঢ় আছি। আমি আমার কৃতকর্মের অনিষ্ট হ’তে তোমার নিকটে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমি আমার উপরে তোমার দেওয়া অনুগ্রহকে স্বীকার করছি এবং আমি আমার গোনাহের স্বীকৃতি দিচ্ছি। অতএব তুমি আমাকে ক্ষমা কর। কেননা তুমি ব্যতীত পাপসমূহ ক্ষমা করার কেউ নেই’।

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে এই দো‘আ পাঠ করবে, দিনে পাঠ করে রাতে মারা গেলে কিংবা রাতে পাঠ করে দিনে মারা গেলে, সে জান্নাতী হবে’। ([105] . বুখারী, মিশকাত হা/২৩৩৫ ‘দো‘আ সমূহ’ অধ্যায়-৯, ‘ইস্তিগফার ও তওবা’ অনুচ্ছেদ-৪।)

♻️ ইস্তেগফার ও তওবার দোয়া -  বার

উচ্চারণ: ‘আস্তাগফিরুল্লাহা রাব্বি মিন কুল্লি জাম্বিওঁ ওয়া আতুবু ইলাইহি; লা হাওলা ওয়া লা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আজিম।’

অর্থ: আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই আমার সব পাপের, আমি তাঁর কাছে ফিরে আসি। আল্লাহর সাহায্য ছাড়া গুনাহ থেকে বাঁচার ও নেক কাজ করার কোনোই শক্তি নেই। (মুসলিম ও তিরমিজি)

♻️ পরীক্ষিত আমল -  বার

উচ্চারণ: সুবহানআল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লাইলাহা ইল্লাল্লাহুু ওয়াল্লাহু আকবার। ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আযিম। আল আউয়ালু ওয়াল আখিরু ওয়াল জহিরু ওয়াল বাতিনু বিয়াদিকাল খয়ির। ইউহয়ি ওয়া ইউমিতু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শায়্যিন ক্বাদির।

♻️ সূরা ফাতিহাকাফিরুনইখলাস, ফালাক্ব সূরা নাস - প্রতিটি ৩ বার 

প্রত্যেকটি ৩ বার করে, ফজর ও মাগরিবের পর। রাসূল (ﷺ) বলেন, সকাল-সন্ধ্যায় এগুলো পাঠ করলে তোমার আর কিছুরই দরকার হবে না।

♻️ দরুদ শরীফ (দরুদে ইব্রাহিম) - ১০ বার

দরুদ শরীফ ১০ বার, ফজর ও মাগরিবের পর। কেয়ামতের দিন রাসূল (ﷺ) এর শাফা'আত লাভ করবে।

আরবি: اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌاللَّهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيد

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা সাল্লি আ’লা মুহাম্মাদিওঁ, ওয়া আ’লা আলি মুহাম্মাদিন, কামা সাল্লাইতা আ’লা ইব্‌রাহীম, ওয়া আ’লা আলি ইব্‌রাহীম ইন্নাকা হামীদুম্ মাজীদ, আল্লাহুম্মা বারিক আ’লা মুহাম্মাদিওঁ, ওয়া আ’লা আলি মুহাম্মাদিন, কামা বারাক্‌তা আ’লা ইব্রাহীম, ওয়া আ’লা আলি ইব্রাহীম ইন্নাকা হামীদুম্ মাজীদ।

অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মাদ (ﷺ) এবং তাঁর বংশধরদের ওপর এই রূপ রহমত নাজিল করো, যেমনটি করেছিলে ইব্রাহিম ও তার বংশধরদের ওপর। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসনীয় ও সম্মানীয়। হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মাদ (ﷺ) এবং তার বংশধরদের ওপর বরকত নাজিল করো, যেমন বরকত নাজিল করেছিলে ইব্রাহিম ও তার বংশধরদের ওপর। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসনীয় ও সম্মানীয়।

♻️ আরবি: اَ إِلهَ إِلاَّ الله وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَ هُوَ عَلى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ  - ১ বার

উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াহদুহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শায়্যিন ক্বাদির।

অর্থ: আল্লাহ ব্যতীত কোন সত্য মাবুদ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন অংশী নেই, তাঁরই জন্য সমস্ত রাজত্ব, তাঁরই সমস্ত প্রশংসা এবং তিনি সর্ব বিষয়ে শক্তিমান।

♻️ আরবি: لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِالله  - ১ বার

উচ্চারণ: লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।

অর্থ: আল্লাহর প্রেরণা দান ছাড়া পাপ থেকে ফিরার এবং সৎকাজ করার শক্তি নেই।

♻️ আরবি: اَللّهُمَّ قِنِيْ عَذَابَكَ يَوْمَ تَبْعَثُ عِبَادَكَ  - ১ বার

উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা ক্বিনী আযা-বাকা ইয়াওমা তাবআসু ইবা-দাক।

অর্থ: হে আল্লাহ! যেদিন তুমি তোমার বান্দাদেরকে পুনরুত্থিত করবে সেদিনকার আযাব থেকে আমাকে রক্ষা করো। (মুসলিম)

♻️ মাগরিবের নামায পড়ে পরিবার তাসবিহ - ১০০ বার

উচ্চারণ: হুয়াল গাফুরুর রাহীম।

অর্থ: তিনি মার্জনাকারী ও করুণাময়।

♻️ সুরা হাশর পড়া

নবী করীম (ﷺ) ইরশাদ করেন, যে ব্যাক্তি সকালে ৩ বার "আউজুবিল্লাহিস সামিয়িল আলিমি মিনাশ্ শাইত্বানির রাজীম" এর সাথে সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াত একবার পাঠ করবে আল্লাহ তার জন্য ৭০ হাজার ফেরেশতা নিযুক্ত করে দেন, যারা সন্ধ্যা পর্যন্ত ঐ ব্যাক্তির জন্য ইস্তিগফার করতে থাকে, সেদিন যদি তার মৃত্যু হয়, তাহলে সে ব্যাক্তি শহীদী মৃত্যু লাভ করবেন। আর সন্ধ্যায় পড়লে সকাল পর্যন্ত সে অনুরুপ মর্যাদার অধিকারী হবেন।

♻️ সুরা ওয়াকিয়া পড়া - ১ বার